সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে জাফরান দুধের রহস্য!!
জাফরান এর সাথে সবাই কম বেশি পরিচিত। এটি মসলা হিসেবেই বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে জাফরানের গুনাগুন অনেক। জাফরান হলো ফুলেরপরাগরেণু। এটি মুলত জাফরান ফুলের পরাগরেণু যা থেকে এর নাম জাফরান বা saffron বলা হয়। এর মিষ্টি সুগন্ধি বলে দিবে এটি কতটা ভালো মানের।
সামান্য জাফরান ছিটিয়ে দিলে খাবার স্বাদ যতটা বেড়ে যায় ঠিক তেমনি সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্য রক্ষায় এর তুলনা নেই। যুগ যুগ ধরে জাফরান বিভিন্ন খাবারে এমনকি সৌন্দর্য চর্চায় ব্যবহার হয়ে আসছে। সেই থেকে দুধের সাথে জাফরানের ব্যবহার হয়ে আসছে নানান রুপচর্চায়। রানীদের রুপচর্চার প্রধান উপকরণ ছিলো দুধ এরপর জাফরানের সংমিশ্রণে হয়ে গেল জাফরান দুধ। দুধ সৌন্দর্য রক্ষায় এর কোনো তুলনা নেই। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ত্বককে প্রাকৃতিক ভাবে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
জাফরানের গুনাগুন :
জাফরানে আছে থেরাপিউটিক নামের একটি উপাদান। এছাড়াও এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনস ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টস যা ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে। এছাড়াও এতে আছে অ্যান্টি ফাংগাল প্রপার্টিজ যা ত্বককে অ্যাকনে ও অন্যান্য স্কিন সমস্যা থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
নিয়মিতভাবে প্রতি রাতে ঘুমানোর ১ ঘন্টা আগে এক গ্লাস করে জাফরান দুধ পান করলে শুধু সৌন্দর্য বাড়বে না বরং সৌন্দর্য বাড়ার পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ঘুমের সমস্যা কাটবে, স্বর্দি কাশি থেকে মুক্তি পাবেন।
জাফরান দুধ
যা যা লাগবে :
২ কাপ তরল গরুর দুধ
১ চিমটি কাশ্মীরি জাফরান
১ চা চামচ মধু
৫-৬ টুকরা কিসমিস( ইচ্ছে হলে)
যেভাবে তৈরি করবেন :
প্রথমে একটি পাত্রে ২ কাপ দুধ নিন কিছুক্ষন ফুটিয়ে এরপর এতে জাফরান দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ফুটিয়ে তাতে ৫-৬ টুকরো কিসমিস দিয়ে দিন যারা কিসমিস পছন্দ করেন না সেক্ষেত্রে এটা না দিলেও চলবে এরপর ঢেকে দিন। মনে রাখবেন দুধ যেন ঘন না হয়। মিডিয়াম আঁচে ফুটাবেন। এর পর চুলা থেকে নামিয়ে গ্লাসে ঢেলে নিন। এরপর মধু মিশিয়ে তা পান করুন। দুধ গরম থাকা অবস্থায় পান করবেন। এতে দুধের কার্যকারিতা নষ্ট হয় না।